মিঠাপুকুর উপজেলার ঐত্যিহবাহী মিঠাপুকুর
মিঠাপুকুর উপজেলা নামকরণের ইতিহাস:
কথিত আছে যে, মোগল সম্রাট আওরঙ্গজেবের আদেশে সেনাপতি মীর জুমলা কোচ বিহার ও আসাম অভিযান কালে ১৬৬২ খ্রীঃ মিঠাপুকুর মৌজায় এসে অবস্থান নেন। মীর জুমলা আসাম আক্রমণের প্রাক্কালে মিঠাপুকুর সংলগ্ন স্থানে সেনাবাহিনীর ছাউনি স্থাপন করেন। অনেকের মতে পানীয় জলের জন্য বর্তমান মিঠাপুকুরের চার কোনায় শাহ ইসমাইল গাজীর আমলের (৪৫৯-১৪৭৪ইং) চারটি ছোট ছোট পুকুরের অস্তিত্ব ছিল। মীর জুমলা বিশাল সৈন্য বাহিনীর সুপেয় পানীয় জলের চাহিদা মেটাতে উক্ত চারটি ছোট ছোট পুকুর খনন ও সংস্কার করে একটি পুকুরের রূপান্তরিত করেন যার আয়তন ৩০ একর। পুকুরটি অবস্থান বর্তমান মিঠাপুকুর পুলিশ থানা ও কলেজের পিছনের দিকে। এ পুকুরের পানি খাওয়ার উপযোগী ও সুস্বাদু হওয়ায় মীর জুমলা পুকুরটির নাম রাখেন মিঠাপুকুর। ঐ পুকুরকে ঘিরে ঐ এলাকায় ক্রমান্বয়ে জনবসতি গড়ে উঠলে পুকুরটির নামেই এলাকাটির তথা উপজেলার নামও মিঠাপুকুর হয়ে যায়। এছাড়া অনেকে মনে করেন শাহ্ ইসমাইল গাজীর আদেশে পুকুরটি খনন করা হয়েছিল।
প্রশাসনিক পরিচিতিঃ
প্রশাসনিক পুর্নবিন্যাসের গত ১৫/০৪/১৯৮৩ ইং তারিখ মেজর জেনারেল আবুল ছালাম পি,এস,সি আঞ্চলিক সামিরক আইন প্রশাসক, ‘‘খ’’ অঞ্চল, রংপুর মান উন্নীত মিঠাপুকুর থানার শুভ উদ্ভোধন করেন।
আয়তন ৫১৫.৬২ বর্গ কিলোমিটার। আবাদী ভূমির পরিমাণ ৩৬৭০০ হেক্টর, বনভূমির আয়তন- ৬৭৫ হেক্টর। মিঠাপুকুর উপজেলার উত্তরে রংপুর সদর ও পীরগাছা উপজেলা, দক্ষিণে পীরগঞ্জ ও সাদুল্লাপুর উপজেলা, পূর্বে পীরগাছা ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলা এবং পশ্চিমে বদরগঞ্জ ও নবাবগঞ্জ উপজেলা। এখানকার প্রধান নদীঃ যমুনেশ্বরী নদী, ঘাঘট নদী, আখিরা নদী।
মর্ডান বাসষ্ট্যান্ড থেকে ১৬ কিমি দূরে হাইওয়ে রোডসংলগ্ন উপজেলা পরিষদের গেট হতে ৩০০ ফুট দূরে আমাদের এই অফিসটি অবস্থিত।
|
|
এই অফিসের মাধ্যমে অত্র উপজেলার সকল গবাদিপ্রাণি ও হাঁস-মুরগিপালনকারী কৃষক/খামারীদের
চিকিৎসা প্রদান,টিকা প্রদান ও কৃত্রিম প্রজনন সেবা প্রদান করা হয়।এছাড়া সরকার ও বিভিন্ন প্রকল্প
কতৃক বরাদ্দ অনুযায়ী কৃষক /খামারীদের প্রণিসম্পদ বিষয়ক দক্ষতা উন্নয়নের জন্য প্রশিক্ষণ প্রদান
করা হয়।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস