সেবা সহজীকরনে আপনার সুচিন্তিত মতামত দিন
ডিমের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা
১) শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে কোলেস্টেরল দরকার আছে। তাই ডিমে রয়েছে এ ভালো কোলস্টেরল। এটি দেহের মন্দ কোলস্টেরল দূর করতেও সহায়তা করে থাকে।
২) হার্টের রোগীদের জন্য ডিম অনেক উপকারী। নিয়মিত ডিম খেলে হার্টের রক্ত চলাচল সঠিক মাত্রায় থাকে। এ ছাড়া হার্ট অ্যাটাকসহ বিভিন্ন আশঙ্কা দূর করে।
৩) শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা একটি বড় অংশ। একটি ডিম আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পরিপূরক। অনেকের শরীরে নানা রকম রোগ বা রোগের উপসর্গ দেখা দেয় তখনই বুঝতে হবে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে। তাই নিয়মিত হাফ সিদ্ধ ডিম খাওয়া সবার উচিত।
৪) ডিমে ভিটামিন-বি কমপেস্নক্স পাওয়া যায়- যা আমাদের দাঁত, চুল, ত্বক ও চোখের জন্য অত্যন্ত উপকারী। অনেকের চুল ও ত্বকে রুক্ষতাসহ বৃদ্ধের ছাপ দেখা দেয়। তাদের নিয়মিত ডিম খাওয়া বাঞ্চনীয়। এ ছাড়া ডিমের সাদা অংশ চুল ও ত্বকে লাগালে চুলের রুক্ষতাসহ ত্বক পরিষ্কার করতেও বেশ কার্যকরী।
৫) ডিমের কেরোটিনয়েড, লু্যটেন ও জিয়েক্সেনথিন বয়সকালের চোখের অসুখ ম্যাকুলার ডিজেনারেশন হওয়ার সম্ভাবনা কমায়। যারা রাতকানা রোগে ভুগে থাকেন এবং চোখে পরিষ্কার দেখতে সমস্যা হয় তারা প্রতিদিন সকালে একটি সিদ্ধ ডিম খেয়ে মধু পান করতে পারেন।
৬) ডিমে প্রচুর জিংক, আয়রন এবং ফসফরাস পাওয়া যায়। অনেক মেয়েদের মাসিকের সময় পেটে অতিরিক্ত ব্যথা এবং রক্তপাত হয়ে থাকে। সেই সঙ্গে অ্যামিনিয়া দেখা দিতে পারে। তাদের জন্য ডিম বেশ ভালো ফলাফল দেয়। তাই মাসিক শুরু হওয়ার ১ ঘণ্টার মধ্যে একটি ডিম আধা সিদ্ধ করে খেলে শরীর ফিট থাকে।
৭) অনেকের নখ মরে যায় এবং নখ ভেঙে যায়। ডিমের সাদা অংশ মরা বা ভাঙা নখের ওপর প্রলেপ দিলে নখ সুস্থ হয়ে যায়। নখের মাঝে কালো দাগসহ আঙুলের চামড়া ওঠা দূর করে থাকে ডিম।
৮) শুধু ব্যায়াম করে পেশি বাড়ানো সম্ভব নয়। সুস্থ ও সুঠাম পেশির জন্য চাই অতিরিক্ত ভিটামিন ডি। আর ভিটামিন ডি ডিমে পাওয়া যায়। সকালে ব্যায়াম করার পরে একটু বিশ্রাম নিয়ে একটি ডিম খেলে শরীরে পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি পাওয়া যায়- যা পেশি গঠনে ভূমিকা রাখে।
৯) একটি ডিমে প্রায় ৩০০ মাইক্রোগ্রাম কোলাইন পাওয়া যায়। যা আমাদের শরীরে খুবই প্রয়োজন, কারণ কোলাইন যকৃত, স্নায়ু, যকৃত? ও মস্তিষ্ককে স্বাভাবিকভাবে নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারে। এতে শরীরের এই অংশগুলো সর্বদা সুস্থ থেকে কার্যকলাপ সম্পাদন করে।
১০) প্রতিটা শিশু ও নারীর শরীরে প্রতিদিন ৫০ গ্রাম প্রোটিনের প্রয়োজন হয়। আর একটি ডিম থেকে প্রায় ৬০-৭০ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়। শিশুর মেধা বিকাশেও ডিম পরিপূরক।
দুধ পুষ্টিগুণে ভরপুর। শিশু, প্রাপ্তবয়স্ক ও বৃদ্ধ–সবারই প্রতিদিন এক গ্লাস দুধ পান করা উচিত। দুধ ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়ামের উৎস। দুধে আছে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, চর্বি, ওমেগা থ্রি, ওমেগা সিক্সসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। দুধকে বলা হয় সুপার ফুড। এতে আছে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ, যা শরীরের জন্য জরুরি। এতে প্রচুর ভিটামিন বি-১২ আছে, যা মস্তিষ্কের জন্য প্রয়োজন। দুধ শরীরকে কর্মক্ষম রাখতে সাহায্য করে। এ ছাড়া দেহের টিস্যু ও কোষ মেরামতের জন্য দারুণ উপকারী।
মাংসের উপকারিতা
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস