প্রশিক্ষন সংক্রান্ত পরামর্শের জন্য যোগাযোগ করুন
উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার
মোবাইল ০১৭২১-৭২০-৩৮০
ই মেইল ulomithapukur@dls.gov.bd
গাভি পালন প্রশিক্ষন নিন, স্বাবলম্বী হউন, দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলুন
বর্তমানে শংকর জাতের গাভী পালনের মাধ্যমে দুগ্ধ খামার স্থাপন একটি লাভজনক ব্যবসা। ৮/১০ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করলে প্রতি মাসেই ১ লক্ষ টাকা আয় করা যায় অনায়াসেই। তবে তিনটি জরুরী বিষয় আয়ত্বে আনতে হবে শুরুতেই। এবং এই তিনটির কোন একটি অবশ্যই বাদ থাকতে পারবে না।
১. যুব উন্নয়ন বা যে কোন সরকারী-বেসসরকারী প্রতিষ্ঠান থেকে ৩ মাসের প্রশিক্ষণ গ্রহন করা। এক বার প্রশিক্ষণ গ্রহন করার পর পরিপূর্ণ আয়ত্তে না আসলে পুনরায় প্রশিক্ষণ গ্রহন করা। ২ বার পরিপূর্ণ আয়ত্তে না আসলে ৩য় বার প্রশিক্ষণ গ্রহন করা।
২. যে কোন একটি খামারে কমপক্ষে ৬/৮ মাস জড়িত থেকে বাস্তব অভিজ্ঞতা নেয়া। এক বছর জড়িত থাকতে পারলে আরো ভাল।
৩. অন্য কারো বুদ্ধি বা জ্ঞানের উপর ভরসা না করে প্রথমিক পর্যায়ে মূল বিনিয়োগের পাঁচ ভাগের এক ভাগ বিনিয়োগ করা। এক বছর পর বাকী মূলধন বিনিয়োগ করা। অর্থ্যাৎ কেউ ২০ লক্ষ টাকা মূলধন বাজেট করলে প্রথমে চার লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। এক বছর পর বাকী টাকা বিনিয়োগ করাতে হবে।
(এই তিনটি বিষয় খেয়াল রাখতে পারলে একজন খামারী সব খরচ বাদ দিয়েও প্রতি মাসে তার মোট বিনিয়োগের ১০/১২% লাভ করতে পারবেন। এই তিনটি বিষয় আমার বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে শেয়ার করা)
অর্থ্যাৎ একজন খামারীর গাভী পালনে উন্নত ব্যবস্থাপনা, সঠিক প্রজনন পদ্ধতি, সুষম খাদ্য তৈরী, রোগদমন ও প্রাথমিক চিকিৎসা ইত্যাদি ইত্যাদি বিষয়ের উপর আধুনিক প্রযুক্তি সম্পর্কে পরিপূর্ণ জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। তবে সব কিছুর পূর্বে প্রয়োজন গাভীর খামার ব্যবস্থাপনার উপর পরিপূর্ণ প্রশিক্ষণ, সেই সাথে মাঝারি/বড় আকারের একটি খামারে কমপক্ষে ৬/৮ মাস জড়িত থাকার বাস্তব অভিজ্ঞতা।
***ভালজাতের গাভীর বৈশিষ্ট্য-
১.মাথাঃ হালকা ও ছোট আকার, কপাল প্রশস্ত, উজ্জ্বল চোখ, খাদ্যের প্রতি আগ্রহ।
২.দৈহিক বৈশিষ্ট্যঃ দেহের সামনে দিক হালকা, পিছনের দিক ভারী ও সুসংগঠিত, দৈহিক আকার আকর্ষণীয়,
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস